ঈদে ফোন নয়,আসতে বলছি! (পর্ব-১)

আলমগীর মাহমুদ

বেড়ার ঘর, টিনের ছাউনি, নীচে ফ্লোর। প্রিন্সিপাল কক্ষ, বাকী ক’টি ক্লাসরোম মিলিয়ে গ্রামে ৯ চৌদ্দ বড় ঘরেই হয়েছিল আমাদের শিক্ষকতার যাত্রা।তখন, তারও আগে, পরে, যারাই পেশায় আসে এখনও তাঁরা।

তখনকার দিনে এটি ছিল ব্রত।সারল্যতা, দরদে সবাইমিলেই ছিল এক দেহ।কেহ হাত, কেউ পা,কেউ চোখ, কেউ কানের মত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বদান্যতায় দেহযন্ত্র সচলের মতো কাজ করতো। প্রযুক্তির যুগ শুরু হয়নি তখনও।

ভিও কার্ডে ঈদ মোবারক লেখায় নান্দনিক দৃশ্যের অথবা দুই কালারে দেখা যায় এমন সব কার্ডে স্মরণ ছিল অগ্রসরমানদের ছায়াকপি। এমনসব দিনে এমন একটি পাওনা মনে দরদী আবহ বিলাতো। বইয়ের ভেতর কার্ডগুলো দৈব প্রাপ্তির মতোই হতো লালন !

যে এমন কার্ডের উপহার বিনিময়ে ছিল সাবলীল তাঁর নাম উঠতো আপণের খাতায়। তাঁর সুখ দুখ নিজ সুখ দুখ মনে হতো। কেমন আপণ আপণ ভাব বিলাতো।এই দীক্ষা বিলাতে,লালনে,ধারণেই আসে ঈদ, কোরবানি।

“আসুন আপণ গল্প বলি ” শিরোনামে যদি নিজের কথাই কইতে যাই।উখিয়া কলেজের দিন বদলে এমন ঈদ মোবারক শিরোনামে করো বিশ,পঁচিশবার এসেছে শুদ্ধাচারের অমূল্য সুযোগ।

যতই বেলা গেছে ততই আমরা পড়েছি কাৎ,চিৎ হয়ে।আত্নঘাতি হতে হতে স্বর্গীয় দরদী পরিবেশে রিসার্চ করার মানুষ গুলো নিজেই রিসার্চের উপাত্ত বনে আছি।

রকম ফেরে, সুযোগী কায়দায় বনে আছি অন্যজনের প্রতিভূ।কেউ কাউরে দেখে হাসির গোপন সৌন্দর্য বিলাই না।বিলাতে পারি না।কেমন যেন নিজেই আলাদা হয়ে পড়ছি সুস্থতার জগৎ থেকে।

এখনো আমরা ফুল বিলাই,যাহ রক্ষিত মোবাইল গ্যালারিতে। ঈদ মোবারক!ঈদ মোবারক। অমূকের ঈদশুভেচ্ছা এমনসব বাহারী সৌজন্যতায় গড়েছি নিজেরে প্রচারে অসৌজন্যতার (ককটেল সংস্কৃতির) পরিবেশ।

শূদ্ধাচারের নয়,ভাললাগারও নয়,ভালবাসারও নয় তারপরও টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসছি “কালের হেরেমে বেগানাপুরুষ” (চলবে)

লেখক- বিভাগীয় প্রধান।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ (উখিয়া কলেজ) , কক্সবাজার।
ইমেইল- alamgir83cox@gmail.com